১২ মে নার্স দিবস ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্মদিন |
- By Broadcast India
- 17th June, 2025 08:46 AM

আজ ১২ মে, আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। বিশ্বব্যাপী চিকিৎসালয় গুলিতে দিবারাত্র কর্মরত নার্সদের অবদানকে স্মরণ করে সম্মান জ্ঞাপনের জন্যই পালিত হয় আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। তবে নার্স দিবস পালন করা হয় ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্মদিনের দিনটিতে। লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প নামেও পরিচিত এই মানুষটি। যুদ্ধের সময় আহত ব্রিটিশ সৈন্যদের জন্য নার্স হিসাবে কাজ করেছিলেন তিনি। আহত সৈনদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
আধুনিক নার্সিং-এর প্রবক্তা ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল-এর ২০৫তম জন্মবার্ষিকী পালিত হতে চলেছে চলতি বছরে। হাসপাতালে যাঁদের ছাড়া চলে না, সেই নার্সদের দিন ১২ই মে। নার্স এই শব্দটা এসেছে প্রাচীন পেশা ওয়েট নার্স থেকে। জানা যায়, আগেকার দিনে সন্তানের জন্মের পরেই সংসার চালানোর জন্য কাজ করতে বেরোতে হত সদ্য প্রসূতিকে। অন্যদিকে নবজাতকরা স্তনদুগ্ধ পান করে। কিন্তু মায়েরা কাজে বেরোলে তা কি করে সম্ভব? সেই কারণেই সদ্যজাত শিশুরা যাতে মাতৃদুগ্ধ পায় তার জন্য নতুন পেশা সৃষ্টি হয় ওয়েট নার্স নামে। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের হাতে সন্তানকে দিয়ে নিশ্চিন্তে কাজে বেরিয়ে যেতেন মা। যদিও আজকের যুগে আর এই নার্সিং পেশার সঙ্গে বাচ্চাদের স্তন্যপানের কোনও সম্পর্ক নেই। এখন হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলিতে রোগীর শুশ্রুষায় নিয়োজিত থাকেন তাঁরা।
তবে নার্স দিবস পালনের প্রস্তাব কিভাবে রাখা হয়? ১৯৫৩ সালে মার্কিন স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কল্যাণ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নার্স দিবস উদযাপনের প্রস্তাব পেশ করেন। সেই অফিসারের নাম ছিল ডরোথি সাদারল্যান্ড। তাঁর এই প্রস্তাব অনুমোদন করেননি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেভিড ডি আইজেনহাওয়ার। এরপর ১৯৬৫ সালে বার ICN নার্স দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। আর তারপর থেকে প্রতি বছর ১২ মে নার্স দিবস হিসাবে পালন করা হয়। এর পরে, ১৯৭৪ সালের জানুয়ারি মাসে, আনুষ্ঠানিকভাবে এই দিনটি উদযাপনের কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেভিড ডি আইজেনহাওয়ার। সেই থেকে প্রতি বছর ১২ মে দিনটি আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালিত হয় বিশ্বজুড়ে।
করোনভাইরাস মহামারীর কবলে সারা বিশ্ব যখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা, তখন দিবারাত্র এক করে রোগীদের সেবার জন্য পরিবারের থেকে দূরে হলেও ডিউটি করে গিয়েছেন এই নার্সরা। শুধু তাই নয়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বহু নার্সের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু তাতেও থেমে যায়নি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কাজ। থেমে থাকেননি নার্সরা। ঠিক যেমন আজও প্রতিটি হাসপাতাল নার্সিংহোমে হাসি মুখেই রোগীর সেবা যত্ন করতে দেখতে পাবেন এই নার্সদের।