২৫শে বৈশাখ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন।
- By Broadcast India
- 17th June, 2025 08:56 AM

চির নূতনেরে দিল ডাক/ পঁচিশে বৈশাখ! হ্যাঁ আজ ২৫ শে বৈশাখ …. কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন। বৈশাখ মানেই নববর্ষ ও কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী পালন। ছোট থেকেই রবীন্দ্রনাথ আমাদের জীবনের সাথে জড়িয়ে। নাচ, গান, নাটকে আনন্দে-হরষের মধ্যে দিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন পালন করতেই অভ্যস্ত আপামর বাঙালি। এদিন শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী থেকে শুরু করে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, রবীন্দ্রভারতী সহ বিভিন্ন স্কুলে কলেজে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পঁচিশে বৈশাখ উদযাপন করা হয় কবিগুরুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে।
১২৬৮ সালের ২৫ শে বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ইংরেজিতে তাঁর জন্মদিবস ১৮৬১ সালের ৭ মে। এবছর রবি ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্ম জয়ন্তী পালিত হচ্ছে দেশজুড়ে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বমানে উন্নীত করার নেপথ্যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আজও সর্বজন স্বীকৃত। শুধু বাঙালি নয়, তাঁর লেখনিতে, গানে, কবিতায়, দর্শনে আপামর ভারতবাসীকে যিনি বারবার মুগ্ধ করেছেন, তিনিই রবিঠাকুর।
শৈশবে মা-কে হারিয়ে একাকী কেটেছে রবি ঠাকুরের ছেলেবেলা। ছোটবেলা থেকেই চিরা চরিত্র শিক্ষার প্রতি তেমন আগ্রহ ছিল না তাঁর। বাড়ির চিলেকোঠায় জানালার ফাঁক দিয়ে তাকিয়ে প্রকৃতি দেখে কাটত তাঁর সময়। কিন্তু তারপরেও উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে গিয়েছেন তিনি। ইংরেজি সংস্কৃতি শিক্ষা থেকে তিনি যা জ্ঞান অর্জন করেছিলেন তার প্রকাশ ঘটেছিল রবি ঠাকুরের পরবর্তী সাহিত্যচর্চায়।
তথ্য অনুসারে, ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮ টি নাটক, ১৩ টি উপল্যাস ও ৩৬ টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন, ৯৫ টি ছোটগল্প এবং ১৯১৫ টি গানের রচয়িতা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এখানেই শেষ নয়, আরো অনেক লেখালেখি রয়েছে বিশ্বকবির। হয়েতো গুণেও শেষ করা যাবে না তাঁর অমর সৃষ্টি। শান্তিনিকেতনে নিজের শিক্ষাচিন্তার ভিত্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
এখানেই শেষ নয়, ১৯১৩ সালে তাঁর গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য প্রথম বাঙালি হিসেবে সাহিত্যে নোবেল অর্জন করেন বিশ্বকবি। ভারতের প্রথম নোবেলজয়ী তিনি। তাঁর পাওয়া সেই পুরস্কারের অর্থেই পরবর্তীকালে নির্মিত হয় বিশ্বভারতী। বর্তমানে শিল্পে গানে কবিতায় কাব্যে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থায় মিশে রয়েছেন রবি ঠাকুর।
গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর মতোই সিনেমা থেকে শিল্পে, গানে, কবিতায় এত বছর পরেও প্রাসঙ্গিক তিনি। আগামী হাজার বছরও হয়তো তেমনই প্রাসঙ্গিক থাকবে তাঁর অমর সৃষ্টি ৷