Broadcast India.

Broadcast India.

12th July, 2025

ধর্মঘটের জোরে উত্তাল রাজ্য। জেলায় জেলায় গ্রেফতা ।

ধর্মঘটের জোরে উত্তাল রাজ্য। জেলায় জেলায় গ্রেফতা ।

আজ বুধবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছে ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ সংগঠন। তাদের প্রতিবাদ সরকারের শ্রমিক-বিরোধী, কৃষক বিরোধী এবং দেশবিরোধী কর্পোরেট নীতির বিরুদ্ধে । আজ সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে জেলায় জেলায় । সামনে আসছে বিভিন্ন জায়গা থেকে সমর্থনকারী ও পুলিশের বচসার ও মারামারির ছবি। জলপাইগুড়ি থেকে কোচবিহার, হলদিয়া থেকে আসানসোল, এমনকি কলকাতা সর্বত্র পথে নেমেছে বনধের সমর্থকরা। এমনকি এই ধর্মঘটের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন অনেক সাংবাদিক ও । হাওড়ায় বনধের সমর্থনে ডোমজুড়ে রাস্তায় নেমেছেন সিপিএম কর্মীরা। রাস্তায় বাস , লরি থামানোর পাশাপাশি দোকান বন্ধ রাখার জন্য চাপ দেওয়া হলে ঘটনা স্থলে ছুটে আসে বিরাট পুলিশ বাহিনী এবং ব়্যাফ। পুলিশ লাঠি চালাতে শুরু করলে সিপিএম কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ব্যারাকপুর দুর্গাপুর ,কোন্নগর, লালগোলা, পান্ডুয়া, উলুবেরিয়া সমস্ত জায়গায় রেললাইনেও অবরোধ দেখায় বন সমর্থকরা ।
আসানসোলেও বনধের সমর্থনে বাম সংগঠনের মিছিল বের হয়। জলপাইগুড়ি শহরে একাধিক সরকারি বাস আটকানোর চেষ্টা করায় পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে। এখনও পর্যন্ত সূত্রের তরফ থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে , ১৪ জন বন্ধ সমর্থককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বীরভূমের কীর্ণাহারের চৌরাস্তা মোড়ে ধর্মঘটের সমর্থনে বামেদের প্রচারে বাধা দিতে পথে নামে তৃণমূল কর্মীরা। শুরু হয় হাতাহাতি।ঘটনা স্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উল্লেখ্য, প্রশাসনের তরফ থেকে ধর্মঘট আটকাতে এবং কোনোভাবেই যেন সাধরণ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত না হয় তার জন্য তারা যেমন রাস্তায় নেমেছে, তেমনি বন্ধ আটকাতে রাস্তায় নেমেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সমর্থকরাও। অন্যদিকে, দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় পথে নেমে বনধ সমর্থকরা নানান জটিলতার সৃষ্টি করে চলেছে । ।যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ডের কাছে কুশপুতুল পোড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে টায়ার জ্বালিয়ে কেন্দ্রীয় শ্রমনীতির প্রতিবাদ জানানো হয়। পুলিশ আগুন নেভাতে গেলে ধস্তাধস্তিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে নিকটবর্তী একটি দোকানে। আগুন নেভাতে গিয়ে পুলিশ কর্মী আহত হয়। বাঘাযতীন স্টেশনের প্ল্যাটফর্মেও প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল শুরু করেন বনধ সমর্থকরা। রেললাইনে দাঁড়িয়ে ট্রেন আটকানোর চেষ্টা করে। তবে কোনওভাবেই যাতে রেল চলাচলে বিঘ্ন না-ঘটে, এবং সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে পুলিশ গিয়ে বন্ধ সমর্থকদের সরিয়ে দেয় ।   অন্যদিকে ধর্মঘটের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে নবান্ন। বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে আজ রাজ্য সরকার ও সরকার পোষিত সমস্ত অফিস যেমন খোলা থাকবে, তেমনি অবশ্যই সমস্ত কর্মীকে অফিসে আসতে হবে । রাজ্য সরকারের কোনও কর্মী আজ নিতে পারবে না ‘ক্যাজ়্যুয়াল লিভ’ । হাফ ছুটিও নেওয়া যাবে না। আর যদি কোনও কর্মী অফিসে হাজিরা না দেয় তাঁর এক দিনের বেতন কাটার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কর্মজীবন থেকেও ওই দিনটি বাদ পড়বে। তবে কেউ হাসপাতালে ভর্তি থাকলে, পরিবারে কারও মৃত্যু হলে, ৮ জুলাইয়ের আগে থেকে কেউ গুরুতর অসুস্থতার কারণে ছুটিতে থাকলে তাঁদের ক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে ছাড় পাওয়া যাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ।